স্কচের বোতলটা খুলতেই একটা দীর্ঘশ্বাসের শব্দ বেরিয়ে এল। তারপর যেন নিজেকে একটু সামলে নিয়ে একটা ভারী মোটা গলা বলে উঠল, হাই! গুড ইভনিং!
বোতলটার খোলা গোল মুখটার দিকে স্থির চোখে কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে বিষাণ বলল, ইভনিং! কিন্তু দীর্ঘশ্বাসটা কেন?
দীর্ঘশ্বাস! ওঃ, নো নো! দীর্ঘশ্বাস কেন হবে। জাস্ট ইগনোর ইট।
দীর্ঘশ্বাসটাও কিন্তু একটা এক্সপ্রেশন। আমার জন্য দুঃখ হচ্ছে?
আরে নাঃ! সন্ধের পর দুনিয়ার লক্ষ লক্ষ লোক হুইস্কি নিয়ে বসে, দুঃখ কীসের? আনন্দ করার জন্যই তো হুইস্কি!
কিন্তু আমার তো সবসময়ে হুইস্কি খেলে আনন্দ হয় না। কখনও কখনও ভারি দুঃখও হয়। ভীষণ দুঃখ, আই ফিল লোনলি।
তা হলে মালে গন্ডগোল আছে। ব্র্যান্ড চেক করে নেবেন।
দোষটা বোধহয় ব্র্যান্ডের নয়। দুঃখও একটা এনজয়মেন্ট।
তা হলে তো ঠিকই আছে। দুঃখেও যদি আনন্দ হয় তো বাক আপ। সঙ্গে একটু শুয়োরের নাড় খেয়ে দেখুন, ব্যাপারটা জমে যাবে।
শুয়োরের নাড়?
সসেজের কথা বলছিলাম স্যার। ফ্রিজে আছে।
ফ্রিজটা নিঃঝুম হয়ে ছিল। ভিতরের ঠান্ডা আরামে যেন কুঁকড়ে বসে আছে। চেতনা নেই। বিষাণ উঠে গিয়ে ফ্রিজের পাল্লাটা খুলতেই ভিতর থেকে একটা বিরক্তির শব্দ বেরিয়ে এল, আঃ, জ্বালালে! মাঝরাতে ঘুমটা ভাঙল...
বিষাণ বলল, সরি। একটু সসেজটা নেব।
সরি স্যার, কাঁচা ঘুমটা ভাঙায় বেফাঁস কমেন্ট করে ফেলেছি। নিন স্যার, আপনারই জিনিস।
সসেজের পাত্রটা বের করে বিষাণ বলল, গুড নাইট।
থ্যাঙ্ক ইউ স্যার, অলওয়েজ ওয়েল কাম...
দরজাটা বন্ধ করে বিষাণ শুধু বলল, শালা।
চলন্ত টিভি থেকে একটা হাই তোলার শব্দ এল। ঘোষককে দেখা যাচ্ছে। সাউন্ড লেভেল মিনিমামে রাখা হয়েছে বলে ঘোষকের কথা শোনা যাচ্ছে না। তবে ছবি দেখা যাচ্ছে। হাই-এর শব্দটা কিন্তু বেশ স্পষ্ট কানে এল বিষাণের।
ঠান্ডা স�